Skip to main content

Posts

হেরিনু স্বপনে: একটি ভবিষ্যতের স্বপ্নাদেশ

হেরিনু স্বপনে : একটি ভবিষ্যতের স্বপ্নাদেশ নিষ্কর্মা আনপ্রোডাক্টিভ লকডাউনের বাজার, দুপুরবেলা খেয়ে উঠে কী নিয়ে ভাবা যায় তাই একটু মন দিয়ে ভাবার চেষ্টা করছিলাম আরকি। আর এই ভাবতে ভাবতেই একটু ঝিম লেগে গেসল বুঝলেন, আর সেই ঝিমে ঢুলতে ঢুলতেই দেয়ালে ঠুকে গেল মাথাটা ঠকাস করে... আর এই এক ঠোকায় একটা আস্ত স্বপ্ন দেখে ফেললুম! দেখলুম কী, গোটা বিশ্ব যখন একটা করোনা নিয়ে ন্যাজেগোবরে, তার মধ্যে চীনে রিলিজ করেছে 'করোনা ম্যাক্স প্রো V2.0' । আর এবার এ মক্কেল শুধু উহান প্রদেশ না, হুঁ হুঁ,গোটা চীনের গর্দান কামড়ে ধরেছে কষে! এমনকি শুধু চীন বলে চীন? চীনের সীমানা পেরিয়ে বুলেট ট্রেনে চেপে  তিব্বতের ওইসব প্রাগৈতিহাসিক গ্লেসিয়ার, পাহাড় ক্রস করে ভাইসাব পাড়ি দিয়েছেন এক্কেবারে তিব্বতের লাসা, শিগৎসে, গিয়াৎসে হয়ে বেবাক ভারত-চীন সীমান্ত অব্দি। আর উদিকে পশ্চিমে কৈলাস, মানস সরোবর পেরিয়ে ইন্দাস নদীর পোঁ ধরে লাদাখের সীমান্ত অবধি খোশমেজাজে উড়ে বেড়াচ্ছেন এই সুপার ভাইরাস বেরাদর! যাকে বলে গিয়ে এক্কেরে ম্যাসাকার অবস্থা চীনের! আর এই চৈনিক চব্যের মধ্যে খোদার খামখা পরে ব্যাপক কেস খেয়ে গেছে আমাদের ভারতের আই টি বি পি জওয়ানরাগুল
Recent posts

In an open relationship

রাত বারোটা পেরিয়ে গেছে, পেরিয়ে গেছে হরতাল, পেরিয়ে গেছে রাষ্ট্র মেরামত করতে 'men at work' নোটিস লাগানোর সময়, এবার কথা বলবো.... আজ হইতে আমার এই পঞ্চেন্দ্রীয় আর দশ জ্ঞানেন্দ্রীয়কে মুক্ত করলাম, এবার থেকে হা পিত‍্যেশ করে বসে থাকবো আকাশ পানে চেয়ে কখন পড়বে স্বাধীনতা টপকে আমার বার করে থাকা জিভে, আমার হোমিওপ্যাথি ওষুধের চিনির গোলা খালাসীটোলার স্পিরিটে ভিজে। টিশার্ট, জিন্স খুলে উলংগ হয়ে বসলাম রাস্তায় মুক্ত হয়ে, ঘোর অঘোর এর ফাঁদ দেখতে কখন শালা আসবে মুক্তি আসবে আমার দেহে! খুলে রাখলাম নিজেকে হাড় পাঁজর বার করে করোটির অর্ধেক উম্মুক্ত করে... এর পর থেকে আর ভালোবাসা ফেরাবো না অভিশাপবদ্ধ হয়ে... বুকে রাগ এলে ঘুষি মেরে মুখ ফাটিয়ে দেওয়ার আগে দুইবার ভাববো না... চোখের তলায় কালি ভরা ফোলা নিয়ে বাঞ্চোত পরদিন মেসেজ করবি... জিগেস করে জেনে নিবি কি ছিল তোর অপরাধ! তার পরে আমি আরেকটা কবিতা লিখবো... কবিতা লিখতে লিখতে গদ্য হয়ে যাবে, তোর গলা জড়িয়ে ধরে দু ফোঁটা চোখের জল ফেলে কেঁদে নেবো! অল্প দু ঘা মার খেয়ে বেঁচে গেলি বেহায়া... শুধরে যা! নয়তো আরেক বার যদি আগুন জ্বলে ওঠে প্রাণে বাঁচবি না সেদিন....

লেখা ১৩

সবই ভালবাসার অভাব, যত confusion, ধরা অধরা আর হাত পিছলে সূত্রের পালানো... কোথায় এর জন্ম wander করতে থাকা, এ সবের মূলে ওই একই উত্তর, ভালবাসার অভাব। যা কিছু হলোনা, কেন হোলনা, আর কেনই বা এমনটা হলো, বা হচ্ছে, এ সবই ওই ভালবাসার অভাব এর লীলা... আবার লীলা আর বাতেলা জিনিসটা নাকি শুনলাম আসলে একই , যে যে বাতেলারা ফ্যান আর ঈশ্বরিক properties বা ধর্ম এর অভাবে লীলা হয়ে উঠতে পারেনা তারাই নাকি বাতেলা হয়ে থেকে যায়, সেদিক দিয়ে সব লীলাই আসলে বাতেলা, আর সব বাতেলারই লীলা হয়ে ওঠার প্রবল সম্ভাবনা ছিল, সৃষ্টিও তো দিনের শেষে এক প্রকার বাতেলাই কিনা... ঠিক যেমন ভাবে সব music ই আসলে পাতি একটা শব্দ, আর সব শব্দের মধ্যেই একটা অদ্ভুত music লুকিয়ে আছে, তবুও আপনারা শব্দ আর music কে এক নামে ডাকেন না... কাজেই ভালবাসার অভাব কে লীলা ও বাতেলা দুই বলে গণ্য করা যায়, পুরোটাই নির্ভর করছে ভালবাসার প্রতি কতটা ভালবাসা আছে তার ওপরে। তাই আপনার ভাল কবিতা খারাপ কবিতা এও ওই ভালবাসার অভাবের রেজালট্যান্ট।  

ভবঘুরের অনাহুত ভবঘুরে অতিথি সম্পর্কে

বুকের কোণে একটু হলেও কেমন যেন করে! একের পর এক ভবঘুরেদের সাথে কয়েকটা দিন রাত ভাগ করে নিয়ে, আবার তাদের নিজের নিজের পথে হাত দেখিয়ে রওনা করিয়ে দিতে! কিন্তু কিই বা আর করা যাবে, পথিকের সম্পূর্ণতা রাস্তায়! যারা যেখানে সুন্দর! এমন প্রত্যেকটা মিলনে যেন পার হয়ে যাচ্ছে একটা একটা করে আস্ত জীবন আমার! দিনের শেষে জীবনও তো তাই, এক অস্তিত্বহীন মহাশূন্য থেকে আরেক অস্তিত্বহীন নিঃশেষ শূন্যতার মাঝে কয়েকটা দিন বই তো কিছু নয়! পথিকের পথে এক প্রহরের গাছের ছায়া ছাড়া আর কিই বা... আজ যে গেল তার জায়গা পরবর্তী চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে নেবে অন্য কেউ! মেক্সিকান গেল, স্প্যানিশ এলো, স্প্যানিশ গেল, ফ্রেঞ্চ এলো, তাও আবার যুগলে , ফ্রেঞ্চ যাচ্ছে, আরেক ফ্রেঞ্চ আসছে, এককে... এভাবেই জীবনের রং, রস, রূপ চুষে চুষে খাচ্ছি আমি ঘরের কোণে বসে বসে! সব ভবঘুরের গল্প বাজারে বসে শোনাতে ভালো লাগে না! কিছুটা ঘটে যায় অন্তরের নিভৃত কোণে, সেটুকু নিয়ে ওদের ফেলে যাওয়া ফাঁকা ঘরের কোণায় বসে কিচ্ছুক্ষন একা সময় কাটাতেই মন চায়! মনকে পোর্টেবল স্টোভে ট্রাভেলিং কুকওয়ারে, সযত্নে লালিত মুহূর্তের তেলে ফেলে নেড়ে চেড়ে রাঁধার মতো! এ খাদ্য কি হজম হবে পেটে, নাকি আ

মুখে মোতার গল্প

একটা গল্প বলি, মুখে মোতার গল্প, বাবা লোকনাথের কাছে তো প্রতিদিন প্রচুর লোক আসত বিভিন্ন প্রকার বক্তব্য নিয়ে, তো এমনি একদিন সন্ধ্যের টাইমে লোকাল বাজারের একদল প্রতিষ্ঠিত মাড়োয়ারি ব্যবসাদার এসেছে, 'বাবা আপনার সাথে একটু হরিনাম করবো আমরা', এই ব্যবসাদারদের লোকনাথ আগে থেকে চিনতো, এরা সুদখোর চশমখর রক্তচোষা পাপী, সারাদিন রক্ত খেয়ে দিনের শেষে এসেছে পাপ ধুইতে, তো এই শুনে ঢ‍্যামনা লোকনাথ সোজা বলে দিল, 'যা যা, হরিনাম করবে! তোদের হরির মুখে মুতি আমি...' । এরপর ব্যবসাদাররা কি আর করে, স্বয়ং লোকনাথের মুখে এমন কথা শুনে তো ওদের মাথায় বাজ, তার ওপর ব্যাবসাদারি বিলিয়নিয়ার ইগোয় চোট লেগে ফেটে চৌচির, তো এরা নিজেদের প্রভাব প্রতিপত্তি ফলিয়ে লোকনাথকে মোক্ষম শিক্ষা দেবে বলে একেবারে সোজা লোকনাথের গুরুর কাছে গিয়ে কমপ্লেন করে দিয়েছে, 'দেখুন আমরা বললাম সারাদিন খেটে খুটে দিনের শেষে সাধুগুরু মহাপুরুষদের পায়ের কাছে বসে একটু হরিকথা শুনি তো উনি এমন কথা বলে দিলেন, হিন্দু সাধুসন্ত মহাত্মারা এমন কথা বললে সমাজের কি হয় বলুন?' এখন লোকনাথের গুরু তো জানতো লোকনাথ কোন লেবেলের সিয়ানা ঢ‍্যামনা, আবার এদিকে বাজারে

লেখা ৭

আমার ঈশ্বর নেই মহাবিশ্ব মহানিয়ম আছে, আমি ঈশ্বরের উপাসক নই, ঈশ্বর প্রাপ্ত হয়ে ঈশ্বরে বিলীন হওয়ার অভিলাষী ও নই, আমি এই দুই পক্ষের মাঝামাঝি নিরপেক্ষ তৃতীয় পক্ষ, আমি ঈশ্বরকে ভালবাসিনি, ঈশ্বরের ভালবাসা চাইওনি, ভূত এবং ঈশ্বর এই দুই পক্ষের সাথেই আমার সম্পর্ক হয়ে এসেছে চির লেনাদেনা বিহীন। তবুও মহাবিশ্বের সেই supreme set of rules কি আমাকে ছেড়ে গেছে কি? যায়নি তো! ধরাও দেয়নি... ভালবাসা না বাসার, খাঁটি আর ফাঁকি এদের মধ্যেই তো নাকানি চোবানি খাওয়াচ্ছে আমৃত্যু... ভান্ড ভর্তি ব্রহ্মান্ড নিয়ে ফাঁকি আর বাকির মাঝখানে ডুবে ডুবে জল গিলছি, গিলে গিলে তলাচ্ছি অতলে, চেনা শেষ হলেই তো দাঁতে জিভ কামড়ে রাখা গৃহিনীটির পায়ের তলায় গিয়ে সানন্দে শয্যা গ্রহণ করব.. আর কাল সবাই তার পুজো চড়াবে।

লেখা ৩

ভিড়, জটলা, লোকজনের হৈ হৈ, মার মার ধর ধর রব?কিছু একটা হচ্ছে, কিন্তু কি হচ্ছে কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না? ভিড় ভেদ করে কিছুতেই ভেতরে সিঁধতে পারছেন না? আবার ভিতরের ব্যাপারটা না জান্তে পারা অবধি পেটের মধ্যেও কেমন একটা অদ্ভুত অচেনা অনুভূতি সুড়সুড়ি দিচ্ছে? এমন অবস্থায় যদি কোনদিন ভাগ্যচক্রে পরে যান, ভুলেও বেশি বোঝার চেষ্টা করবেন না, চোখ বন্ধ করে একটা ডেঁপোমি করে ফেলুন, দমকলে একটা খবর দিয়ে দিন। বাড়ি ফাঁকা প্রেমিকার বিরহী প্রেমিক, আর কালীঘাটের হাড়-হাভাতে ভিখারি বাদে একমাত্র ওরাই তো আছেন, খবর পাওয়া মাত্র ল্যাজ তুলে না হোক, ঊর্ধ্বশ্বাসে না হোক অন্তত ঢং ঢং রবে এসে হাজির হবেন। আসতে আসতে এলাকায় ঢোকার শহরের সব প্রান্ত থেকে যত রাস্তা আছে তার অর্ধেক খালি, কারণ তখন সবাই ভাবছে কোথাও একটা লেগেছে লেগেছে লেগেছে লেগেছে আগুন, আর সেই এলাকায় যদি কপালের কপালফেরে কোনো পুলিশ মামা থেকে থাকেন, যাদের পোশাকতুতো মাসতুতো ভাই বলে আবার দমকলের বীর ঢংঢংকারী দের ধরা যায়,  সেইমামারাও ভাববেন নিশ্চয়ই আশপাশে কোথাও কারোর একটা সযত্নে লালিত শকুনের বাসা ঝাঁটে আগুন লেগেছে, কাজেই ওই অকুস্থলটিও খালি করে দেওয়া তার আশু সাংবিধানিক কর্তব